পরিচালনা

কোভিড-19 প্রতিক্রিয়া: সামার 2021

হালনাগাদ করা হয়েছে 27 August 2021

Applies to England

কোভিড-19 মহামারীর পুরো সময় জুড়ে, সরকারের লক্ষ্য হল যুক্তরাজ্য জুড়ে জীবন ও জীবিকার সুরক্ষা দেওয়া। যুক্তরাজ্যে বিধিনিষেধ কমিয়ে আনা হলেও এটি সরকারের অগ্রাধিকার হিসেবেই রয়েছে।

যুক্তরাজ্য এই বছর ব্যাপক অগ্রগতি করেছে। ভ্যাকসিনস টাস্কফোর্স দ্বারা ভ্যাকসিন সংগ্রহ করা এবং ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস) দ্বারা ভ্যাকসিনের বিতরণ, যুক্তরাজ্যকে একটি শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছে। যুক্তরাজ্য মাল্টা বাদে ইউরোপের অন্যান্য যে কোনো দেশের তুলনায় এটির জনসংখ্যার বেশিরভাগকে ভ্যাকসিন প্রদান করেছে এবং অন্যান্য যে কোনো জি7 দেশের তুলনায় মাথাপিছু বেশি ডোজ প্রদান করেছে।[footnote 1] টিকা কর্মসূচি সফল হওয়ার কারণে সরকার এবং ডিভলড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস এবং নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডে লকডাউনের বিধিনিষেধ কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।

ভ্যাকসিনগুলো সংক্রমণ এবং গুরুতর রোগ ও মৃত্যুর মধ্যে যোগসূত্রকে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করছে।[footnote 2] মূলত কোভিড-19 প্রতিক্রিয়াতে যেভাবে প্রকাশ করা হয়েছে - স্প্রিং 2021 (‘রোডম্যাপ’), জনসংখ্যার যথেষ্ট পরিমাণে বড় একটি অংশের ভ্যাকসিন দেওয়া থাকায়, দেশটি মার্চ 2020 থেকে কার্যকর থাকা কঠোর অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিধিনিষেধগুলোর প্রয়োজন ছাড়াই কোভিড-19 এর সাথে বাঁচতে শিখতে পারবে।

মহামারী এখনো শেষ হয়ে যায়নি। আক্রান্তের সংখ্যা বর্তমানে বাড়ছে, সেইসাথে বাড়ছে হাসপাতালে ভর্তি। সমাজ এবং অর্থনীতি পুনরায় খোলার সাথে সাথে আক্রান্তের সংখ্যা, হাসপাতালে ভর্তি এবং দুঃখজনকভাবে মৃত্যুর ঘটনা আরো বাড়বে। সতর্কতা বজায় রাখা আবশ্যক এবং লোকজনকে তাদের নিজেদের ও অন্যদের ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য, জেনে বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে এবং সাবধানে ও সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে কাজ করতে বলা হবে। সাম্প্রতিক সময়ে ছড়িয়ে পড়া ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টটি বর্তমানে সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তারকারী এবং পূর্বের সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তারকারী আলফা ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে 40-80% বেশি সংক্রমণযোগ্য বলে ধারণা করা হয়,[footnote 3] পরিস্থিতি কত দ্রুত পরিবর্তন হতে পারে এটি তা প্রমাণ করে। ভ্যাকসিন প্রোগ্রাম সফল হওয়ার অর্থ হলো পূর্বের প্রবাহগুলোর তুলনায় হাসপাতালে ভর্তি ধীরে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে, যদিও বৃদ্ধি হার এবং প্রবাহটির সময়কাল অনিশ্চিত রয়ে যায়। ডাটা নিয়মিত পর্যালোচনার অধীনে রাখা হবে। তারপরও এখনো সংক্রমণ এবং অসুস্থতার উচ্চ মাত্রা থাকবে এবং সেই কারণে জনজীবন, অর্থনীতি এবং জন পরিষেবা সরবরাহের ক্ষেত্রে ব্যাঘাত থেকে যাবে। 19 জুলাই ধাপ 4 –এ যাওয়া হবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্তটি, 12 জুলাই তারিখে এনএইচএস এর উপর প্রভাব সহ, চারটি টেস্টের একটি মূল্যায়নের ভিত্তিতে নেওয়া হবে।

দেশটি যে অগ্রগতি অর্জন করেছে তার প্রতি সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হলো একটি ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন যা সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে এড়িয়ে যেতে পারে। প্রমাণ রয়েছে যে বিদ্যমান কিছু ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনগুলো কম কার্যকর হতে পারে, যেমন বেটা ভ্যারিয়েন্ট,[footnote 4] এবং আসন্ন মাস এবং বছরগুলোতে নতুন কী কী ভ্যারিয়েন্ট দেখা দেবে সরকার তা জানে না। এমনকি নতুন কোনো ভ্যারিয়েন্ট ছাড়াই, পরের শীতে কোভিড-19 আক্রান্তের সংখ্যায় পুনরায় বৃদ্ধি দেখা দিতে পারে, যা ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো অন্যান্য মৌসুমি শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগের সাথে একত্রে মিলে হওয়ার সম্ভাবনা আছে।[footnote 5]

অতএব, ইংল্যান্ড যখন রোডম্যাপের ধাপ 4 –এ অগ্রসর হবে, তখনো সরকার ভাইরাসের বিস্তার থেকে গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ করা অব্যাহত রাখবে। এটি মহামারীটির ব্যাপারে সরকারের প্রতিক্রিয়ায় একটি নতুন পর্ব চিহ্নিত করবে, প্রত্যেককে দৈনন্দিন জীবনের কঠোর বিধিনিষেধ থেকে সরিয়ে এনে, ঝুঁকি হ্রাস করার লক্ষ্যে হস্তক্ষেপের পাশাপাশি, কীভাবে নিজের এবং অন্যদের সুরক্ষা দেওয়া যায় সে সম্পর্কে লোকদের পরামর্শ দেওয়ার দিকে নিয়ে যাবে। এটি করার জন্য, সরকার যা করবে:

  1. বুস্টার ইঞ্জেকশান এবং তা গ্রহণ করা চালিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে দেশের ভ্যাকসিনের প্রতিরক্ষা দেয়ালকে শক্তিশালী করা।
  2. জনগণকে, আইন নয় বরং দিকনির্দেশনার মাধ্যমে, জেনে বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম করা।
  3. আন্তর্জাতিক মানদণ্ডগুলোর সাথে সঙ্গতি রেখে, সামঞ্জস্যপূর্ণ টেস্ট, ট্রেস এবং আইসোলেট পরিকল্পনা বজায় রাখা।
  4. বিশ্বব্যাপী আবির্ভূত হওয়া বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্ট এবং সেগুলো যুক্তরাজ্যে প্রবেশের ঝুঁকি হ্রাস করতে, সীমান্তে ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ এবং একটি বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়ায় সহায়তা করা।
  5. দেশটি যখন কোভিড-19 এর সাথে বাঁচতে শিখবে তখন আক্রান্তের সংখ্যা, হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যুর ঘটনা আরো ঘটবে বলে স্বীকার করে নেওয়ার পাশাপাশি, অপ্রত্যাশিত ঘটনাবলী সামাল দিতে জরুরী অবস্থার জন্য পরিকল্পনা বজায় রাখা।

এই ডকুমেন্টে ইংল্যান্ডে যেই ব্যবস্থাগুলো কার্যকর করা হবে তা প্রকাশ করা হয়েছে। ডিভলড অ্যাডমিনিস্ট্রেশনগুলো স্কটল্যান্ড, ওয়েলস এবং নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের জন্য পরিকল্পনা নির্ধারণ করছে।

1. দেশের ভ্যাকসিনের প্রতিরক্ষা দেয়ালকে শক্তিশালী করা

2 জুলাই পর্যন্ত, ইংল্যান্ডের প্রায় 38 মিলিয়ন মানুষ তাদের ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পেয়েছেন এবং প্রায় 28 মিলিয়ন মানুষ তাদের দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন।[footnote 6] সরকার আশা করছে যে, 19 জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন পাওয়ার সুযোগ পাবেন এবং প্রাপ্ত বয়স্কদের দুই তৃতীয়াংশ তাদের দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করবেন। ভ্যাকসিন বিতরণকে আরো ত্বরান্বিত করতে সরকার 40 বছরের কম বয়সীদের জন্য প্রথম ডোজের আট সপ্তাহ পরে দ্বিতীয় ডোজ এগিয়ে আনবে, যা সমস্ত গ্রুপের জন্য ডোজের ব্যবধান আট সপ্তাহে কমিয়ে আনবে। সরবরাহ স্থিতিশীল থাকা সাপেক্ষে, এর মানে হলো সকল প্রাপ্তবয়স্করা সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝির মধ্যেই ভ্যাকসিনের একটি সম্পূর্ণ কোর্স পাওয়ার সুযোগ পাবেন। স্বাধীন জয়েন্ট কমিটি অন ভ্যাকসিনেশন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন (জেসিভিআই) পরামর্শ দিয়েছে যে কমপক্ষে 8 সপ্তাহের একটি ডোজের ব্যবধান বজায় রাখতে হবে কারণ তথ্যপ্রমাণে দেখা যায় যে ডোজের দীর্ঘতর ব্যবধান, বিশেষ কিছু পরিস্থিতি ব্যতীত, উচ্চতর দীর্ঘমেয়াদী সুরক্ষা প্রদান করে।[footnote 7]

পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড (পিএইচই) এর বিশ্লেষণ ইংগিত দেয় যে অক্সফোর্ড/অ্যাস্ট্রাজেনেকা বা ফাইজার/বায়োএনটেক যেই ভ্যাকসিনই হোক না কেন তার একটি ডোজ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে উপসর্গযুক্ত রোগের ঝুঁকি ~ 35% এবং হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকি ~80% হ্রাস করে। দ্বিতীয় ডোজটি উপসর্গযুক্ত রোগের বিরুদ্ধে ~79% এবং হাসপাতালে ভর্তির বিরুদ্ধে ~96% সুরক্ষা বাড়িয়ে দেয়।[footnote 8]

বিদ্যমান তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে, জেসিভিআই এর অন্তর্বর্তীকালীন পরামর্শ হলো সেপ্টেম্বর 2021 থেকে শুরু করে সর্বাধিক ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের কোভিড-19 এর বুস্টার ভ্যাকসিন প্রদান করা।[footnote 9] বুস্টার প্রোগ্রামটির লক্ষ্য হবে ভ্যারিয়েন্টগুলোর বিরুদ্ধে অতিরিক্ত প্রতিরোধ প্রদান করা এবং শীতের মাসগুলোর আগে আগে কোভিড-19 এর কারণে গুরুতর অসুস্থ হওয়ার সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে সুরক্ষা সর্বাধিক করা, যখন কোভিড-19 এর বাইরের জরুরী অবস্থার চাহিদা সর্বোচ্চ থাকায় এনএইচএস এর উপর চাপ বেড়ে চলেছে।

গ্রুপগুলোতে একটি বুস্টার ডোজ দুটি পর্যায়ে প্রদান করা হবে এবং যদি সম্ভব হয় তবে বার্ষিক ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিনের পাশাপাশি দেওয়া হবে। প্রথম পর্যায়ে, 16 বছর বা তার বেশি বয়সের প্রাপ্তবয়স্ক যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম; যারা বৃদ্ধ প্রাপ্তবয়স্কদের আবাসিক কেয়ার হোমে থাকেন; 70 বা তার বেশি বয়সী সমস্ত প্রাপ্তবয়স্ক; 16 বছর বা তার বেশি বয়সী প্রাপ্তবয়স্ক যারা চিকিৎসাগত ভাবে অত্যন্ত দুর্বল বলে বিবেচিত; এবং সম্মুখ সারির স্বাস্থ্য এবং সামাজিক যত্ন কর্মীদের জন্য একটি বুস্টার প্রদান করা হবে। প্রথম পর্যায়ের পর যত তাড়াতাড়ি করা যায়, দ্বিতীয় পর্যায়ে 50 বছর বা তার বেশি বয়সী সমস্ত প্রাপ্তবয়স্ক; ইনফ্লুয়েঞ্জা বা কোভিড-19 এর ঝুঁকিপূর্ণ গ্রুপে থাকা 16–49 বছর বয়সী প্রাপ্তবয়স্ক;[footnote 10] এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার অভাব থাকা ব্যক্তিদের যোগাযোগে থাকা পরিবারের প্রাপ্তবয়স্কদের একটি বুস্টার প্রদান করতে দেখা যাবে। বুস্টার ক্যাম্পেইনের প্রস্তাবিত আকার – সেই সাথে কখন, কার জন্য এবং কোন ভ্যাকসিন (গুলো) ব্যবহার করা হবে – তা পরবর্তী তথ্য প্রমাণাদি উপলব্ধ হওয়ার সাথে সাথে পরিবর্তন হতে পারে।

সরকার জেসিভিআই -কে শিশুদের ভ্যাকসিন দেওয়ার বিষয়ে পরামর্শ দিতে বলেছে। সরকার যখন পরামর্শ পাবে, তখন তা সাবধানতার সাথে বিবেচনা করা হবে এবং সরকার কীভাবে আগানোর পরিকল্পনা করছে তার একটি আপডেট প্রদান করা হবে।

উপরন্তু, সরকার কোভিড-19 এর ভ্যাকসিন নেওয়াকে কেয়ার হোমে কর্মরত স্টাফ এবং অন্যদের জন্য নিয়োগের একটি শর্ত হিসেবে রাখার মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের রক্ষা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এছাড়াও সরকার, এই শর্তটি স্বাস্থ্যসেবা এবং অপর আরো সোশ্যাল কেয়ারের ক্ষেত্রগুলো যেমন বাড়িতে গিয়ে সেবা দেওয়ার পরিসরেও প্রসারিত করা উচিৎ হবে কিনা, তা নিয়ে শীঘ্রই একটি পরামর্শ শুরু করছে।

দীর্ঘ মেয়াদে, বুস্টার ভ্যাকসিন দেওয়া অ্যান্টিভাইরাল এবং থেরাপিউটিক সহ অন্যান্য ফার্মাসিউটিক্যাল হস্তক্ষেপগুলোর পাশাপাশি কোভিড-19 নিয়ন্ত্রণের নিয়মিত অংশে পরিণত হতে পারে। এপ্রিল মাসে, প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টিভাইরালস টাস্কফোর্স প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছেন।[footnote 11] টাস্কফোর্সটি অ্যান্টিভাইরালগুলোর উন্নয়নে নেতৃত্ব দিচ্ছে, যা নিরাপদ এবং কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত হলে, সংক্রমণের চক্র ভাঙতে, হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা কমাতে এবং সেরে ওঠার সময়কে তরান্বিত করতে সহায়তা করতে পারে। কোভিড-19 এবং এটির ক্লিনিক্যাল প্রভাবগুলোর দীর্ঘমেয়াদী ব্যবস্থাপনার সক্ষমতার জন্য, সরকার ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রামের পাশাপাশি অন্যান্য চিকিৎসা নিরূপণ এবং প্রদান অব্যাহত রাখবে। এটি নিশ্চিত করবে অন্যান্য মৌসুমি শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগের পাশাপাশি যাতে ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করা যায়, এবং যুক্তরাজ্য দীর্ঘমেয়াদে যেকোনো ভবিষ্যত মহামারীর জন্য প্রস্তুত।

2. জনগণকে জেনে বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম করা

রোডম্যাপটি ইংল্যান্ডের লকডাউন থেকে চারটি ধাপ নির্ধারণ করেছে।[footnote 12] 14 জুন তারিখে প্রধানমন্ত্রী, অধিক সংক্রমণপ্রবণ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার কারণে দেখা দেওয়া অতিরিক্ত ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তার ফলস্বরূপ, ধাপ 3 -এ চার সপ্তাহের একটি বিরতি ঘোষণা করেছেন। 19 জুলাইয়ে ধাপ 4 –এ এগিয়ে যাওয়া হবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত নিতে, সরকার 12 জুলাই আবারো চারটি পরীক্ষার মূল্যায়ন করবে।

এই আপডেটটি সেই নিয়ম ও নির্দেশনাগুলো তুলে ধরে যেগুলো ধাপ 4 -এ প্রযোজ্য হবে, যাতে করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিরা প্রস্তুত হওয়ার সময় পায়। এই পদ্ধতিটি সামাজিক দূরত্ব, সার্টিফিকেশন এবং ইভেন্টস রিসার্চ প্রোগ্রামের মধ্যে রোডম্যাপের পর্যালোচনা দ্বারা অবহিত করা হয়েছে। ইভেন্টস রিসার্চ প্রোগ্রামের প্রথম পর্বের প্রাপ্ত তথ্যগুলো 25 জুন প্রকাশিত হয়েছিলো,[footnote 13] এবং সামাজিক দূরত্ব ও সার্টিফিকেশনের পর্যালোচনার প্রাপ্ত তথ্যগুলো এই ডকুমেন্টের পাশাপাশি রয়েছে।

ধাপ 4 -এ, সরকার সামাজিক যোগাযোগ, জীবনভিত্তিক অনুষ্ঠানগুলোর উপর থাকা চলমান আইনি বিধিনিষেধ অপসারণ করবে এবং অবশিষ্ট বন্ধ প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেবে। এর পরিবর্তে সরকার জনগণকে, কীভাবে তাদের নিজেদের ও অন্যদের প্রতি ঝুঁকি মোকাবেলা করবে সে সম্পর্কে জেনে বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম করে তুলবে। সরকার জনসাধারণ এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করবে যে, তারা কীভাবে কোভিড-19 এর বিস্তার হ্রাসে সহায়তা করতে পারে এবং আরেকটি পুনরাবির্ভাবের ঝুঁকি নিরসন করতে পারে যা এনএইচএস -কে অস্থিতিশীল চাপের মধ্যে ফেলে।

এর মানে হলো ধাপ 4 -এ:

  • সামাজিক যোগাযোগের উপর অবশিষ্ট সমস্ত সীমাবদ্ধতা (বর্তমানে 6 জন বা 2 টি পরিবার বাড়ির অভ্যন্তরে, বা 30 জন লোক বাড়ির বাইরে) সরিয়ে ফেলা হবে এবং বাড়ির ভিতরে বা বাইরে, যে কোনো পরিবেশে কত জন লোক সাক্ষাৎ করতে পারবে তার উপর আর কোনো বিধিনিষেধ থাকবে না।
  • সকল প্রতিষ্ঠান খুলতে পারবে, নাইটক্লাবগুলো সহ। বড় বড় অনুষ্ঠান, যেমন মিউজিক কনসার্ট এবং ক্রীড়া ইভেন্টগুলো উপস্থিতির সীমা বা সামাজিক দূরত্বের প্রয়োজনীয়তা ছাড়াই পুনরায় শুরু হতে পারে।
  • বিবাহ, অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া, বার/ব্যাট মিটজভাহ এবং ব্যাপ্টিজমের মতো জীবনভিত্তিক অনুষ্ঠানগুলো থেকে সমস্ত বিধিনিষেধ অপসারণ করা হবে, উপস্থিতির সংখ্যার উপর থাকা অবশিষ্ট বিধিনিষেধগুলো সহ। লাইফ ইভেন্টগুলোতে টেবিল সার্ভিসের আর প্রয়োজন হবে না, বা গান গাওয়া বা নাচের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ থাকবে না।
  • যেকোনো প্রতিষ্ঠানে দর্শনার্থীদের প্রবেশের শর্ত হিসেবে আইনে কোভিড-স্ট্যাটাস এর সার্টিফিকেশনের প্রয়োজন হবে না। প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো দর্শনার্থীদের কাছে কোভিড-স্ট্যাটাস এর প্রমাণ চাইতে পারে, যতক্ষণ না তারা সমতা আইনের অধীনে বিদ্যমান আইনি বাধ্যবাধকতাগুলো পূরণ করে। সরকার স্বতন্ত্র ব্যক্তিদের সহজেই তাদের কোভিড-স্ট্যাটাস প্রদর্শন করার জন্য একটি উপায় প্রদান করছে। এনএইচএস অ্যাপে এনএইচএস কোভিড পাসের মাধ্যমে – একটি সম্পূর্ণ ভ্যাকসিন কোর্স সম্পন্ন করে, সাম্প্রতিক একটি নেগেটিভ টেস্ট বা প্রাকৃতিকভাবে ইমিউনিটি তৈরি হওয়ার প্রমাণের মাধ্যমে এটি অর্জন করা যেতে পারে।
  • ফেস কভারিং পরার আইনি শর্ত সকল পরিবেশে তুলে নেওয়া হবে। কোভিড-19 এর বিস্তার হ্রাসে সহায়তা করতে, প্রকাশিত নির্দেশনা পরামর্শ দেবে যে যেখানে আপনি এমন লোকদের সংস্পর্শে আসেন যাদের সাথে আপনি সাধারণত আবদ্ধ ও জনাকীর্ণ স্থানে দেখা করেন না, সেখানে ফেস কভারিং পরিধান করা আপনার এবং অন্যদের প্রতি ঝুঁকি হ্রাস করবে।
  • সামাজিক দূরত্বের নিয়ম (2 মিটার বা বাড়তি ছাড় সহ 1 মিটার) তুলে দেওয়া হবে। আপনার অন্যদের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের ঝুঁকিগুলো বিবেচনায় রাখা চালিয়ে যেতে হবে, বিশেষত আপনি যদি চিকিৎসাগত ভাবে অত্যন্ত দুর্বল হন বা এখনো পুরোপুরি ভ্যাকসিন নেওয়া না হয়ে থাকে। সামাজিক দূরত্ব কেবল সীমিত কিছু পরিস্থিতিতে প্রয়োজন হবে: এক ব্যক্তি থেকে আরেক ব্যক্তির মধ্যে ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্নগুলো সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ করতে, অবতরণ এবং সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের জন্য যাত্রীদের বন্দরসমূহের প্রবেশপথ; এবং সেলফ-আইসোলেশনে থাকা ব্যক্তিদেরও অন্যদের কাছ থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় অব্যাহত রাখা উচিৎ, বিশেষত যখন তাদের টেস্টের ফলাফল পজিটিভ এসেছে। স্বাস্থ্য ও সেবা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রয়োজন অনুযায়ী যথাযথ সংক্রমণ রোধ ও নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়াগুলো বহাল রাখা অব্যাহত রাখবে এবং তা ক্রমাগত পর্যালোচনা করা হবে। এই সামারে সর্বশেষতম ক্লিনিক্যাল তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে নির্দেশনা আপডেট করা হবে।
  • যেখানে সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি তীব্র সেসব বিশেষ স্থানগুলোর জন্য, জনস্বাস্থ্যের পরিচালকগণ, সেই স্থানের পরিচালনাকারী এবং সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টগুলোর সাথে পরামর্শের মাধ্যমে, প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণ করতে প্রয়োজনে সামাজিক দূরত্ব কার্যকর করার পরামর্শ দিতে পারবেন। এটি হওয়া উচিৎ লক্ষ্য নির্দিষ্ট, সময় নির্ধারিত এবং কারাগার, অভিবাসন অপসারণ কেন্দ্র এবং গৃহহীন আশ্রয় কেন্দ্রের মতো আবদ্ধ ও ঝুঁকিপূর্ণ কমিউনিটির বৈশিষ্ট্যযুক্ত স্থানগুলোতে প্রয়োগ করা উচিৎ।
  • সরকারের এখন আর লোকদের বাড়ি থেকে কাজ করার নির্দেশ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। নিয়োগকর্তারা কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা শুরু করতে পারবেন।
  • টেবিল সার্ভিস এবং টেবিলের মধ্যে দূরত্ব রাখা সহ, যেসব বিধি-বিধানগুলো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উপর কোভিড-সুরক্ষিত শর্তাদি আরোপ করে, সেগুলো তুলে নেওয়া হবে। নিয়োগকর্তারা তাদের কর্মস্থলে ঝুঁকি হ্রাস করতে যেসকল যুক্তিসম্মত সতর্কতা গ্রহণ করতে পারেন সেগুলোর উদাহরণ প্রদান করতে ‘নিরাপদে কাজ করা’ নির্দেশনা আপডেট করা হবে। এই নির্দেশনাটি নিয়োগকর্তাদের ঝুঁকি মূল্যায়ন প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেওয়া উচিৎ, যা ইতিমধ্যেই মহামারী-পূর্ব স্বাস্থ্য এবং সুরক্ষা বিধিগুলোর অধীনে তৈরি করা তাদের জন্য আবশ্যক।
  • ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো অবশ্যই সেলফ-আইসোলেশনে থাকা কোনো কর্মীকে কাজে আসতে নির্দেশ দেবে না, এবং নিশ্চিত করবে যে যেসকল কর্মী এবং গ্রাহকরা অসুস্থ বোধ করছেন তারা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হবেন না।
  • ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে, কর্মী ও গ্রাহকদের নিয়মিত তাদের হাত পরিষ্কার করতে বলতে এবং যেসব উপরিতল নিয়মিত মানুষজন স্পর্শ করে সেগুলো পরিষ্কার করতে উৎসাহিত করা হবে। যেখানে প্রয়োগসাধ্য, সেখানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে কর্মক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় সংস্পর্শ কমাতে পারে সে বিষয়ে সরকার নির্দেশনা প্রদান করবে। অপারেটরদের এখনো, যেখানে প্রয়োগসাধ্য যেখানে বাইরের জায়গা ব্যবহার করতে এবং অভ্যন্তরীণ স্থানগুলোতে তাজা বাতাসের সরবরাহ বিবেচনায় রাখতে উৎসাহিত করা হবে। কোন স্থানে বায়ুচলাচল অপর্যাপ্ত রয়েছে তা সনাক্ত করতে কার্বন ডাই অক্সাইড (CO2) মনিটর ব্যবহার করা যেতে পারে, সেই সাথে CO2 রিডিং যদি ধারাবাহিকভাবে বেশি থাকে তাহলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে বায়ুচলাচল উন্নত করার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে উদ্বুদ্ধ করা যেতে পারে।
  • এনএইচএস টেস্ট অ্যান্ড ট্রেস –এ সহায়তা করার জন্য, এনএইচএস কোভিড-19 অ্যাপ ব্যবহার করে প্রবেশ করতে গ্রাহকদের জন্য কিউআর কোড দেখাতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে উৎসাহিত করা হবে, যদিও এটি এখন আর আইনি শর্ত হিসেবে থাকবে না।
  • শিশু এবং কিশোরদের শিক্ষার ক্ষেত্রে উপস্থিতি সর্বাধিক করা এবং ব্যাঘাত হ্রাস করার সাথে সাথে সুরক্ষা ব্যবস্থাগুলোর একটি বেসলাইন বজায় রাখতে, সরকার আর্লি ইয়ার, স্কুল, কলেজ এবং উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রয়োগকৃত নিয়ন্ত্রণগুলো পরিবর্তন করবে। সরকারের অভিপ্রায় হলো ধাপ 4 থেকে শিশুদেরকে আর সবসময় একই গ্রুপে (‘বাবল’) থাকতে হবে না, এবং আর্লি ইয়ার প্রতিষ্ঠান, স্কুল বা কলেজগুলোর নিয়মিত কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং করার প্রয়োজন হবে না, যা শিশুদের আইসোলেশনে যাওয়ার সংখ্যা হ্রাস করতে সহায়তা করবে। নির্দিষ্ট কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং কেবল তখনই আরম্ভ করা হবে, যদি তা স্থানীয় প্রাদুর্ভাবের প্রতিক্রিয়ায় আবশ্যক মনে করা হয়।
  • এছাড়াও সরকার, ভ্যাকসিন সম্পূর্ণভাবে নেওয়া ব্যক্তিদের (নিম্নে যেমনটি বর্ণিত) জন্য পন্থার সাথে সঙ্গতি রেখে, 18 বছরের কম বয়সী যারা পজিটিভ ফলাফল আসা কারো ঘনিষ্ঠ যোগাযোগে আছে, তাদেরকে সেলফ-আইসোলেশনে থাকার আবশ্যকতা থেকেও ছাড় দিতে চায়। পরবর্তী বিস্তারিত তথ্য যথাসময়ে প্রকাশ করা হবে এবং সামারের শেষ দিকে পরিবর্তনগুলো কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইউনিভার্সিটিগুলোতে সশরীরে শিক্ষাদান এবং শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে কোনো বিধিনিষেধ থাকবে না।
  • ডিপার্টমেন্ট ফর এডুকেশন শীঘ্রই আরো বিস্তারিত তথ্য ঘোষণা করবে এবং সামারের সময়কাল ও পরবর্তী টার্ম উভয়টিকে অন্তর্ভুক্ত করে, ধাপ 4 থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবস্থাপনার জন্য নতুন নির্দেশনা প্রকাশ করবে।
  • কেয়ার হোমগুলোতে, সরকার এমন বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করবে যা প্রত্যেক বাসিন্দার পাঁচজন মনোনীত দর্শনার্থী থাকতে পারবে বলে সীমাবদ্ধ করে। কেয়ার হোমগুলো নিরাপদ রাখতে, দেখা-সাক্ষাৎ কীভাবে পরিচালিত হওয়া উচিৎ নির্দিষ্ট দিকনির্দেশনায় তা জানিয়ে দেওয়া হবে, সেই সাথে দেখা-সাক্ষাৎ যতটা সম্ভব স্বাভাবিক করে তোলা হবে। কেয়ার হোমগুলোতে সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে বাসিন্দাদের সুরক্ষিত রাখতে, অপরিহার্য সংক্রমণ রোধ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাগুলো বজায় রাখতে হবে।

বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার অর্থ এই নয় যে কোভিড-19 এর ঝুঁকিগুলো পুরোপুরি চলে গিয়েছে। বরং এটি মহামারীটির ব্যাপারে সরকারের প্রতিক্রিয়ায় একটি নতুন অধ্যায় চিহ্নিত করে, যেই সময়ে দেশটি ভাইরাসকে সাথে নিয়ে বাঁচতে শিখছে মানুষের তখন নিজের এবং অন্যদের প্রতি ঝুঁকিগুলো সামলাতে হবে। ধাপ 3 এর অংশ হিসেবে ঘোষিত, বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করা বিষয়ক নির্দেশনার উপর ভিত্তি করে, লোকেরা কীভাবে নিজের এবং অন্যদের প্রতি ঝুঁকিগুলো মোকাবেলা করতে পারে সে বিষয়ে সরকার পরামর্শমূলক নির্দেশনা প্রদান করবে। নিচের আচরণগুলো কীভাবে উপকারী হবে এটি তা তুলে ধরে:

  1. সম্ভব হলে, ভালোভাবে বাতাস চলাচল করে এমন স্থানে দেখা করা, যেমন বাড়ির বাইরে অথবা বাড়ির ভিতরে জানালা খোলা রেখে।
  2. যেখানে আপনি এমন লোকদের সংস্পর্শে আসেন যাদের সাথে আপনি সাধারণত আবদ্ধ ও জনাকীর্ণ স্থানে দেখা করেন না, সেখানে ফেস কভারিং পরিধান করা।
  3. সারা দিন জুড়ে নিয়মিতভাবে আপনার হাত সাবান ও পানি দিয়ে ধোয়া অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা।
  4. কাশি ও হাঁচি দেওয়ার সময় আপনার নাক ও মুখ ঢেকে রাখা।
  5. বন্ধু-বান্ধব, পরিবার, সহকর্মী এবং আপনার কমিউনিটির অন্যদের মধ্যে অন্যান্য অসুস্থতা ছড়িয়ে দেওয়ার ঝুঁকি কমাতে, অসুস্থ হলে বাড়িতে থাকা।
  6. চিকিৎসাগত দিক থেকে দুর্বল হওয়া এবং ভ্যাকসিন গ্রহণের অবস্থার মতো স্বতন্ত্র ঝুঁকিগুলো বিবেচনা করা।

সরকার লোকদের ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য, এবং তাদের মধ্যে উপসর্গ থাকলে সেলফ-আইসোলেশনে থাকা এবং টেস্ট করার জন্য অনুরোধ করা অব্যাহত রাখবে। সেসব লোকদের জন্য সেলফ-আইসোলেশনে থাকা আইনত আবশ্যক থাকবে, যাদের টেস্টের ফলাফল পজিটিভ এসেছে অথবা এনএইচএস টেস্ট অ্যান্ড ট্রেস যাদেরকে সেলফ-আইসোলেশনে থাকতে বলেছে। ভাইরাসটির বিস্তার হ্রাসে সহায়তা করতে জনসাধারণকে এনএইচএস কোভিড-19 অ্যাপ এর সর্বশেষতম সংস্করণটি ডাউনলোড এবং ব্যবহার করতে উৎসাহিত করা অব্যাহত থাকবে।

কোভিড-19 –এ আক্রান্ত হওয়ার বা ছড়িয়ে দেওয়ার ঝুঁকি হ্রাস করতে, যেকোনো ব্যক্তি তারা সাধারণত যাদের সাথে থাকেন না তাদের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ সীমিত রাখার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, বিশেষত তারা যদি চিকিৎসাগত ভাবে অত্যন্ত দুর্বল হয়ে থাকেন। বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর যারা আরো বেশি সতর্কভাবে চলতে চান তাদের প্রতি সম্মান এবং বিবেচনাবোধ থাকা গুরুত্বপূর্ণ।

3. সামঞ্জস্যপূর্ণ টেস্ট, ট্রেস এবং আইসোলেট পরিকল্পনা বজায় রাখা

ভাইরাসটিকে সামলানো এবং সম্ভাব্য বিপজ্জনক ভ্যারিয়েন্টগুলো ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি হ্রাস করার ক্ষেত্রে টেস্ট, ট্রেস এবং আইসোলেট এর একটি চলমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সরকার ধারণা করছে যে অটাম এবং উইন্টার জুড়ে টেস্ট, ট্রেস এবং আইসোলেট পদ্ধতিটির আবশ্যকতা থেকে যাবে।

অটাম এবং উইন্টার জুড়ে দেশকে ভাইরাসটি সাথে নিয়ে বাঁচতে সাহায্য করার জন্য, অনুরোধ মেনে নেওয়া ও পালন করা অব্যাহত রাখা অপরিহার্য।

উপসর্গ দেখা দিলে টেস্ট করা অব্যাহত থাকবে। এনএইচএস কোভিড-19 অ্যাপটির ব্যবহার সংযোজনের মাধ্যমে (যদিও চেক ইন করা বা ভেন্যুতে যোগাযোগের বিশদ প্রদান করা এখন স্বেচ্ছাধীন থাকবে), ভাইরাসটির বিস্তার পর্যবেক্ষণ ও দমন করার ক্ষেত্রে সনাক্তকরণ এবং আইসোলেশনই মূল চাবিকাঠি হিসেবে থাকবে।

উপসর্গ ছাড়া নিয়মিত টেস্টগুলো আক্রান্তদের খুঁজে পেতে এবং সংক্রমণের চক্র ভাঙতে সহায়তা করতে থাকবে। এটি পরিবর্তনকালটিতে সাহায্য করবে, যেহেতু লোকেরা নিজেদের ব্যক্তিগত ঝুঁকি সামলাবে, সেই সাথে অন্যদেরও সুরক্ষা দেবে। এটি যাদের ভ্যাকসিন সম্পূর্ণভাবে নেওয়া হয়নি, যারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং এনএইচএস, সোশ্যাল কেয়ার এবং কারাগারের মতো উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোতে আছেন তাদের উপর বিশেষভাবে দৃষ্টি রাখবে। নির্দিষ্ট সময়কালের ঝুঁকির মোকাবেলা করতে সহায়তা করার জন্য লোকজন একটি বিনামূল্যের পরীক্ষা করানোও বেছে নিতে পারেন যেমন কর্মক্ষেত্রে ফিরে যাওয়া, উচ্চতর ঝুঁকির পরিবেশে নিবিড় সংস্পর্শে আসার বা কোনও দুর্বল ব্যক্তির সাথে দীর্ঘ সময় কাটানোর পরে। কমিউনিটি টেস্টিং লোকাল অথোরিটিকে সামঞ্জস্যহীনভাবে-প্রভাবিত এবং অন্যান্য উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ গ্রুপগুলোর উপর নজর দিতে সাহায্য করবে।

যেসব ব্যক্তিদের সম্পূর্ণভাবে ভ্যাকসিন নেওয়া আছে তারা যদি আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির যোগাযোগে থাকেন, তাহলেও তাদেরকে সেলফ-আইসোলেশনে থাকার শর্ত থেকে সরকারের ছাড় দেওয়ার অভিপ্রায় আছে, 18 বছরের কম বয়সীদের ক্ষেত্রেও একই ছাড় রয়েছে (উপরে যেমনটি বলা আছে)। কারো যদি টেস্টের ফলাফল পজিটিভ হয় তাহলে তাদেরকে এখনো সেলফ-আইসোলেশনে থাকতে হবে, তাদের ভ্যাকসিন নেওয়া থাকুক বা না থাকুক। পরবর্তী বিস্তারিত তথ্য যথাসময়ে প্রকাশ করা হবে এবং সামারের শেষ দিকে পরিবর্তনগুলো কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কমপক্ষে সেপ্টেম্বরের শেষ পর্যন্ত, সেলফ-আইসোলেশনের প্রয়োগ এবং সহায়তা অন্যথায় এখন যেমন আছে তেমন চলবে। আক্রান্ত ব্যক্তিরা এবং ঘনিষ্ঠ যোগাযোগে থাকা ব্যক্তিরা যারা বাড়ি থেকে কাজ করতে পারেন না এবং আইসোলেশনের কারণে আর্থিক অসুবিধায় পড়তে পারেন, তারা £500 টেস্ট অ্যান্ড ট্রেস সাপোর্ট পেমেন্ট পাওয়ার অথবা তাদের লোকাল অথোরিটি থেকে আর্থিক সহায়তা পাওয়ার অধিকারী হতে পারেন। আইসোলেশনের জন্য ব্যবহারিক সহায়তার ক্ষেত্রে একটি ঔষধ সরবরাহ পরিষেবা এবং লোকাল অথোরিটি প্রদত্ত সহায়তা অন্তর্ভুক্ত করা অব্যাহত থাকবে।

4. সীমান্তে ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ এবং একটি বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়ায় সহায়তা করা

রোডম্যাপের মাধ্যমে বিধিনিষেধগুলো শিথিল করার ক্ষেত্রে দেশটি যে অগ্রগতি অর্জন করেছে, ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্নগুলো তার প্রতি সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আসন্ন মাস এবং বছরগুলোতে ভ্যারিয়েন্টগুলো বৈশ্বিকভাবে আবির্ভূত হতে থাকবে এবং এর মধ্যে এমন ভ্যারিয়েন্ট থাকতে পারে যেগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে এড়িয়ে যেতে পারে, এতে ভ্যাকসিন দ্বারা প্রদত্ত সুরক্ষা দুর্বল হয়ে পড়বে। ভ্যারিয়েন্টগুলো থেকে দেখা দেওয়া ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও প্রতিক্রিয়ায়, সরকার সীমান্তে তার স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের ব্যবস্থাগুলোসহ একটি বিপুল পরিমাণ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্য সরকার তার ট্র্যাফিক লাইট সিস্টেম বাস্তবায়ন করেছে, স্থাপন করেছে গ্লোবাল ট্র্যাভেল টাস্কফোর্স (জিটিটি), যা লাল, হলুদ এবং সবুজ দেশ থেকে আগতদের জন্য প্রযোজ্য ব্যবস্থাগুলো নির্দেশ করে।[footnote 14] এই ঝুঁকির রেটিংগুলো নিয়মিত পর্যালোচনার অধীনে রাখা হয়, প্রতি তিন সপ্তাহে আপডেট করা হয়, অথবা স্বাস্থ্য চিত্র নির্দেশ করলে তা আরো জরুরি ভিত্তিতে করা হয়। লোকেরা যে দেশ থেকে ভ্রমণ করেছে সে দেশের জন্য প্রযোজ্য বিধিগুলো অনুসরণ করে চলা গুরুত্বপূর্ণ।

জিটিটি তিনটি চেকপয়েন্টও স্থাপন করেছে যেগুলোতে সরকার প্রতিটি ঝুঁকির স্তরের প্রতি প্রযোজ্য ব্যবস্থাগুলোর পর্যালোচনা করবে, যাতে সেগুলো সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকে। 28 জুন প্রথম পর্যালোচনা পয়েন্টে, সরকার নিশ্চিত করেছিল যে বেশিরভাগ ব্যবস্থাগুলো কার্যকর থাকবে, তবে তার উদ্দেশ্য নির্ধারণ করেছিল যে হলুদ দেশ থেকে আগতরা যাদের সম্পূর্ণভাবে ভ্যাকসিন নেওয়া আছে[footnote 15] তাদের এই সামারের শেষ থেকে আর আইসোলেশনে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। ট্রান্সপোর্ট সেক্রেটারি শীঘ্রই আরো বিশদ বিবরণ পেশ করবেন।

যুক্তরাজ্যের সুরক্ষা অব্যাহত রাখার আরো অর্থ হলো মানুষকে সর্বত্র নিরাপদ রাখতে বিশ্বব্যাপী সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা, এবং ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্নগুলোর ক্রমাগত আবির্ভাব রোধ করা। ভ্রমণের বিধিনিষেধগুলো এর অংশ হিসেবেই থাকবে। এর সমর্থনে, জি7 আন্তর্জাতিক ভ্রমণ নিরাপদ ও দীর্ঘস্থায়ীভাবে পুনরায় শুরুর জন্য আলোচনা জোরদার করতে সম্মত হয়েছে। সরকার জি7 এর সাথে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে সংলাপের মাধ্যমে এই অ্যাজেন্ডা সরবরাহ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

যুক্তরাজ্যের প্রেসিডেন্সির অধীনে জি7 নেতারা, উন্নয়নশীল দেশগুলোর ভ্যাকসিন পাওয়াকে অগ্রাধিকার দিয়ে, বৈশ্বিক টিকাদানকে ত্বরান্বিত করতে একটি পরিকল্পনায় সম্মত হয়েছেন। পরবর্তী বছর জুড়ে অর্থ এবং ডোজ শেয়ার করার মাধ্যমে 1 বিলিয়ন ডোজ সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পাশাপাশি (যুক্তরাজ্য থেকে 100 মিলিয়ন ডোজ সহ), জি7 অন্যান্য আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সাথে সরবরাহ বাড়াতে এবং বিতরণ ও টিকাদান কর্মসূচীতে সহায়তা করতে কাজ করবে। যুক্তরাজ্য অ্যাক্সেস টু কোভিড-19 টুলস অ্যাকসেলারেটর (ACT-A) এর সবচেয়ে বড় অনুদানকারীদের একজন, যার COVAX উদ্যোগটি এখনো পর্যন্ত 134 টি দেশে 95 মিলিয়নেরও বেশি ডোজ সরবরাহ করেছে।[footnote 16] এর মধ্যে 90% এরও বেশি ছিল অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন, যা যুক্তরাজ্য সরকারের অর্থায়নের সাহায্যে তৈরি হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী মে মাসে একটি নতুন গ্লোবাল প্যাথোজেন সারভেইল্যান্স নেটওয়ার্ক (‘গ্লোবাল প্যান্ডেমিক রাডার’) এর জন্য পরিকল্পনারও ঘোষণা দিয়েছিলেন।[footnote 17] যুক্তরাজ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) এবং অন্যান্যদের সাথে রাডার তৈরি ও চালু করার ব্যাপারে কাজ করছে, যাতে বিশ্ব ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্নগুলো ভালোভাবে সনাক্ত করতে এবং এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে এবং ভবিষ্যতে মহামারী প্রতিরোধ ও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি উন্নত করতে পারে। যুক্তরাজ্যের বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় জিনোমিক সিকোয়েন্সিং সক্ষমতা ভ্যারিয়েন্টগুলো সনাক্ত করা এবং সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে একটি মূল অবদান রাখবে এবং যুক্তরাজ্য ইতিমধ্যে ভারত, নাইজেরিয়া এবং ব্রাজিলকে এই ক্ষেত্রে তাদের সক্ষমতা উন্নয়নে সহায়তা করছে।

5. জরুরী অবস্থার জন্য পরিকল্পনা বজায় রাখা

এমনকি রোডম্যাপটি শেষ হওয়ার পরেও উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি থেকে যাবে, বিশেষত ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্নগুলো থেকে, যা ভ্যাকসিনকে এড়িয়ে যেতে পারে। ভাইরাসটি তারপরও দেশে এবং বিদেশে ছড়াতে থাকবে এবং এই শীতে কোভিড-19, ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং অন্যান্য শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগের পুনরাবির্ভাবের সাথে মিলে, এনএইচএস এর উপর শীতকালীন স্বাভাবিক চাপের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে। শীতকালের মতো উচ্চতর ঝুঁকির সময়কালে ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারের ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজন হতে পারে, তবে যথাসম্ভব শক্তিশালী দিকনির্দেশনাকে অগ্রাধিকার দেবে এবং উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং স্বাস্থ্য ব্যয় রয়েছে এমন বিধিনিষেধ আরোপ করা এড়াতে চাইবে।

সীমান্তে নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি, ভ্যারিয়েন্টগুলোর ঝুঁকি মোকাবেলা এবং সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন রকমের সরঞ্জাম রয়েছে, যার মধ্যে আছে নজরদারি, জিনোমিক সিকোয়েন্সিং, প্রাদুর্ভাব ব্যবস্থাপনা এবং ফার্মাসিউটিক্যাল হস্তক্ষেপ (পুনরায় ভ্যাকসিন দেওয়া সহ)। যদি তথ্য প্রমাণ থেকে ইংগিত পাওয়া যায় যে একটি বিপজ্জনক ভ্যারিয়েন্ট দমন বা মোকাবেলা করার জন্য স্থানীয়, আঞ্চলিক বা জাতীয় পর্যায়ে অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিধিনিষেধগুলো পুনরায় আরোপ করা অপরিহার্য, তাহলে তা করার জন্য সরকার জরুরী অবস্থার পরিকল্পনা বহাল রাখবে। এই জাতীয় ব্যবস্থাগুলো শুধুমাত্র এনএইচএস এর উপর অস্থিতিশীল চাপ রোধের জন্য সর্বশেষ উপায় হিসেবে পুনরায় চালু করা হবে। সরকার 28 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বর্তমান বিধিবিধানগুলোও বজায় রাখবে, যা লোকাল অথোরিটিকে গুরুতর এবং জনস্বাস্থ্যের প্রতি আসন্ন হুমকির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সক্ষম করে। সরকার যথাসময়ে স্থানীয় এলাকার জন্য একটি আপডেটকৃত কোভিড-19 দমন প্রাদুর্ভাব ব্যবস্থাপনা ফ্রেমওয়ার্ক প্রকাশ করবে।

কোভিড- স্ট্যাটাস সার্টিফিকেটের পর্যালোচনায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে বর্তমান সময়ে কোনো প্রতিষ্ঠানে দর্শনার্থীদের প্রবেশের শর্ত হিসেবে সার্টিফিকেটের ব্যবহার আইনত বাধ্যতামূলক করা হবে না। পর্যালোচনায় সার্টিফিকেটের ব্যাপারে প্রকাশিত উদ্বেগ উপলব্ধি করা হয়, ব্যবসায়ের উপর এটি যে চাপ ফেলবে তা সহ। তবে, অটাম বা উইন্টারে দেশ যদি কোনো জটিল পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়, তাহলে সম্ভাবনা আছে যে সার্টিফিকেটটি ইভেন্ট চালু রাখা এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার একটি উপায় করে দিতে পারে। ভবিষ্যতের যেকোনো বাস্তবায়ন পরামর্শ এবং উপযুক্ত সংসদীয় বিবেচনার মাধ্যমে হবে।

6. ডাটা পর্যবেক্ষণ এবং পদক্ষেপের পর্যালোচনা করা

এনএইচএস এর অস্থিতিশীল চাপের মুখোমুখি হওয়ার কোনো ঝুঁকি নেই তা নিশ্চিত করতে সরকার নিয়মিতভাবে ডাটা পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রাখবে।

বছরের শেষের দিকে, সরকার অটাম এবং উইন্টারের জন্য দেশের প্রস্তুতির ব্যাপারে মূল্যায়ন করবে। শীতকাল জুড়ে কোন শর্তগুলো অব্যাহত রাখতে হবে তা বিবেচনা করার জন্য অটামের শুরুর দিকে করোনাভাইরাস অ্যাক্ট এবং অবশিষ্ট বিধিগুলো সরকার পর্যালোচনা করবে।

  1. https://ourworldindata.org/covid-vaccinations 

  2. https://www.gov.uk/government/publications/phe-monitoring-of-the-effectiveness-of-covid-19-vaccination 

  3. SAGE, কোভিড-19 বিষয়ক নব্বই-সেকেন্ডের মিটিং, 9 জুন 2021 https://www.gov.uk/government/publications/sage-92-minutes-coronavirus-covid-19-response-9-june-2021 

  4. https://www.who.int/publications/m/item/weekly-epidemiological-update-on-covid-19—25-may-2021 

  5. https://www.gov.uk/government/publications/jcvi-interim-advice-on-a-potential-coronavirus-covid-19-booster-vaccine-programme-for-winter-2021-to-2022/jcvi-interim-advice-potential-covid-19-booster-vaccine-programme-winter-2021-to-2022#fnref:5 

  6. https://coronavirus.data.gov.uk/details/vaccinations 

  7. https://www.gov.uk/government/news/jcvi-advice-to-mitigate-impact-of-b1-617-2-variant 

  8. https://assets.publishing.service.gov.uk/government/uploads/system/uploads/attachment_data/file/998411/Vaccine_surveillance_report_-_week_26.pdf 

  9. https://www.gov.uk/government/publications/jcvi-interim-advice-on-a-potential-coronavirus-covid-19-booster-vaccine-programme-for-winter-2021-to-2022 

  10. পিএইচই গ্রিন বুক -এ ঝুঁকিপূর্ণ গ্রুপগুলোতে কোভিড তুলে ধরা হয়েছে: https://www.gov.uk/government/collections/immunisation-against-infectious-disease-the-green-book 

  11. https://www.gov.uk/government/news/government-launches-covid-19-antivirals-taskforce-to-roll-out-innovative-home-treatments-this-autumn 

  12. https://www.gov.uk/government/publications/covid-19-response-spring-2021 

  13. https://www.gov.uk/government/publications/events-research-programme-phase-i-findings 

  14. https://www.gov.uk/government/publications/global-travel-taskforce-safe-return-of-international-travel 

  15. সম্পূর্ণ ভ্যাকসিন প্রদান: ভ্যাকসিনের একটি সম্পূর্ণ কোর্স শেষ করার 14 দিন পরে, দুটি ডোজ বা একটি ডোজ যেটিই প্রয়োজন হোক (এমএইচআরএ অনুমোদিত শিডিউল অনুসারে) 

  16. https://www.gavi.org/covax-vaccine-roll-out 

  17. https://www.gov.uk/government/news/pm-announces-plan-for-global-pandemic-radar